শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

৫ কারণে জয় পেতে পারেন বাইডেন

৫ কারণে জয় পেতে পারেন বাইডেন

স্বদেশ ডেস্ক:

ভোট-গণিতের চেয়ে আর কোনো জটিল হিসেব আছে কিনা, এ এক বিতর্কযোগ্য প্রশ্ন। তারপরও বিশ্লেষকরা সহজবোধ্য কিছু আভাস সামনে এনে থাকেন। ঠিক তেমনি, জো বাইডেন কেন জয়ের পথে এগিয়ে থাকবেন, এ নিয়ে পাঁচটি কারণের কথা উল্লেখ করেছে দ্য হিল।

ভোটাররা বাইডেনকে পছন্দ করে

চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে একরকম ঘৃণাই করত ভোটাররা। কিন্তু এও সত্য যে, তারা ট্রাম্পের চেয়েও বেশি ঘৃণা করত হিলারি ক্লিনটনকে। মন্দের ভালো হিসেবে ভোটাররা ট্রাম্পকেই শেষে বেছে নেয়। তিনি যেহেতু রাজনীতির মঞ্চে নতুন ছিলেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে সবাই আস্থা রাখতে চেয়েছিল হয়তো। আর হিলারিকে তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেখা গেছে তিনি ঠিক কতটুকু বলেন আর কতটুকু করতে পারেন।

এবার ট্রাম্প তো পরীক্ষিত ব্যর্থ। যদিও তার জনপ্রিয়তা ষোলোর চেয়ে বেশি। আগের নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তা শতকরা চল্লিশ ভাগের কম ছিল। এবার অন্তত চল্লিশের কোটায় উঠেছে। কিন্তু বাইডেন যেন শৃঙ্গে। শতকরা ৫৫ ভাগ পর্যন্ত ভোটার তার পক্ষে। জাতীয় জরিপগুলোয় এমনটাই দেখা যাচ্ছে শেষ মুহূর্তেও।

টাকা আছে যার

ভালো আর মন্দ, সত্য হোক আর মিথ্যা- বার্তা দ্রুত ও বহুজনের কাছে ছড়িয়ে দিতে পকেটে টাকা থাকা লাগে। যাদের টাকা বেশি আছে, সেই প্রচারশিবির এগিয়ে থাকবে। সেটা এবার বাইডেনের আছে।

ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রেতার ছেলে বাইডেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যিনি ১০০ কোটি ডলার প্রচার তহবিল হিসেবে সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।

সবার মনে করোনা

একমাত্র করোনা ভাইরাসই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের চার বছরের মূল্যায়ন করার জন্য যথেষ্ট। এখন তো যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় দফায় সংক্রমণের ঢেউ আঘাত হেনেছে। এটা ট্রাম্পের জন্য ভুল সময়। নির্বাচনের আগের দিন এক লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত- এটা আর অসম্ভব ঠেকে না কিছুতেই। ট্রাম্প নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন, ফলে প্রচারেও তখন কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন।

করোনা মোকাবিলা নিয়ে ট্রাম্পের দুর্বলতাই বাইডেনকে জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে পারে। কারণ, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রচারসভা থেকে ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৭০০ জন। এমনকি মাস্ক পরাকেও গুরুত্ব না দিয়ে বরং নিরুৎসাহিত করেছেন ট্রাম্প। বাইডেন পুরো সময়টা জুড়ে করোনা মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ মত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন, অন্যদের মেনে চলতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠদের মন জয়

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটা সমস্যা বহুদিনের। প্রায় কোনো প্রার্থীই সিনিয়রদের মন জয় করতে পারেননি, তথা তাদের সমর্থন সেভাবে আদায় করতে পারেননি। কিন্তু এবার দেখা গেছে, বাইডেনকে দলীয় সব নেতাই সমর্থন দিয়েছেন। তার পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়েছেন, ভোট চেয়েছেন।

কৌশলে তফাৎ

ট্রাম্প এই ভোটের লড়াইকে কেবল তার সঙ্গে বাইডেনের লড়াই হিসেবে দেখছেন। এ কারণে তিনি কেবল বাইডেনকে গালিগালাজ করতেই ব্যস্ত। তিনি দেশের জনগণের জন্য সেভাবে অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ের গভীরে গিয়ে কোনো বড় প্রতিশ্রুতি দেননি, বা সেভাবে ঘোষণা করেননি। অন্যদিকে বাইডেন স্পষ্টবাদী। এমনকি তিনি একটা বিজ্ঞাপনে বলেছেন, ‘ব্যালটই দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে। দেশকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে, গত চার বছরের বিভেদের রাজনীতি থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হলে, ব্যালটেই তা বদলে দিতে হবে।’

এছাড়া ট্রাম্প মিনিটে মিনিটে কথা বদলান। বাইডেন শুরু থেকে তার নীতিগুলোয় অবিচল রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877